জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 তরুণ চিন্তাভাবনাকে আরও সুদক্ষ করতে এবং এমন একটি শিক্ষণ বাস্তুতন্ত্র তৈরি করার উপর জোর দিয়েছে যা তরুণ পাঠক/শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে নেতৃত্ব দানের জন্য প্রস্তুত করতে পারে। ভারতকে একটি তরুণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এর মোট জনসংখ্যার 66% অধিকার করে আছে তরুণরা এবং তাদের দক্ষতা জাতি গঠনের জন্য কাজে লাগাতে প্রস্তুত। এই প্রেক্ষাপটে, তরুণ লেখকদের জন্য একটি দেশব্যাপী পরামর্শদান ও তাদের তৈরি করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে সৃজনশীল বিশ্বে আগামী দিনে নেতৃত্বদানে ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা দেখা গেছে। প্রথম পরামর্শদায়ক প্রকল্পটি 31শে মে 2021 সালে চালু করা হয়েছিল। যেখানে এর থিম ছিল ভারতের জাতীয় আন্দোলন, অজ্ঞাত বীরদের উপর আলোকপাত করা; স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে স্বল্প-জানা তথ্য নিয়ে লেখা; জাতীয় আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানের ভূমিকা দেওয়া; আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে জাতীয় আন্দোলনের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও বিজ্ঞান সম্পর্কিত ইত্যাদি দিক নিয়ে নতুন ধারার অনেক লেখাও পাওয়া গেছে।.
এই পরিকল্পনাটি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে, একবিংশ শতাব্দীর ভারতকে ভারতীয় সাহিত্য এবং বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গির দূতে পরিণত করার জন্য এক তরুণ লেখক প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। বই প্রকাশনার ক্ষেত্রে ভারতের স্থান তৃতীয় এবং আমাদের কাছে রয়েছে আদিবাসী সাহিত্যের ভান্ডার যা অবশ্যই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে হবে।
22 টি ভারতীয় ভাষা এবং ইংরেজিতে তরুণ ও উদীয়মান লেখকদের বৃহৎ অংশগ্রহণের মাধ্যমে পিএম-যুব প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণের উল্লেখযোগ্য প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, পিএম-যুব 3.0 11 মার্চ 2025 তারিখে চালু হচ্ছে।.
সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতার সময়কাল |
11 মার্চ - 10 এপ্রিল, 2025 |
প্রস্তাবগুলির মূল্যায়ন |
12 এপ্রিল - 12 মে, 2025 |
জাতীয় বিচারক সভা |
20 মে 2025 |
ফলাফল ঘোষণা |
31 মে 2025 |
মেন্টরশিপ কার্যক্রম |
1 জুন - 1 নভেম্বর, 2025 |
জাতীয় ক্যাম্প |
নয়াদিল্লি বিশ্ব বইমেলা 2026 (10 থেকে 18 জানুয়ারি, 2026) |
বইয়ের প্রথম সেটের প্রকাশ |
31 মার্চ 2026-এর মধ্যে |
পিএম-যুব 3.0-এর থিমগুলো হল:
1) জাতি গঠনে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান;
2) ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা; এবং
3) আধুনিক ভারতের নির্মাতা (1950-2025)।
এই প্রকল্পটি এমন এক ধারার লেখকদল তৈরি করতে সাহায্য করবে যারা ভারতের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের বিভিন্ন দিক নিয়ে লিখতে পারবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণমনকে, নিজেদের খোলা বইয়ের মত তুলে করার এবং প্রাচীন ও বর্তমান সময়ে ভারতীয়দের অবদানের একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার একটি সুযোগ করে দেবে।
থিম 1: জাতি গঠনে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান
প্রবাসী বলতে এমন যেকোনো গোষ্ঠীকে বোঝায় যারা তাদের মাতৃভূমি ছেড়ে বিশ্বের অন্যান্য অংশে চলে গেছে। বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মতে, ভারতীয় প্রবাসী জনসংখ্যা আনুমানিক 35 মিলিয়নেরও বেশি, প্রায় 200টি দেশে অনাবাসী ভারতীয় (NRI) এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি (PIO) উভয়ই বসবাস করছেন, যেজন্য ভারতীয়রা বিশ্বব্যাপী বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায়গুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে।
কনিষ্কের রাজত্বকালে ভারতীয় অভিবাসনের ইতিহাস প্রথম শতাব্দীতে ফিরে আসে বলে মনে করা হয়। এই গোষ্ঠীর মানুষদের জিপসি বলা হত, যারা ইউরোপে বসতি স্থাপন করেছিল। অশোক, সমুদ্রগুপ্ত প্রমুখদের সময়ে ভারতীয়দের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থানান্তরিত হওয়ার রেকর্ড পাওয়া যায়। ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ভারতের অনেক মানুষ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে মধ্য এশীয় এবং আরব দেশগুলিতে চলে যায়। পরবর্তীতে, ব্রিটিশ, ফরাসি এবং ডাচ সহ ভারতে ঔপনিবেশিক শক্তির আগমনের সাথে সাথে, ফিজি, গায়ানা, মরিশাস, সুরিনাম, ত্রিনিদাদ ইত্যাদি দেশে তাদের উপনিবেশে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের অভিবাসন শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, দক্ষ শ্রমিকরা উন্নত দেশগুলিতে চলে যায়। অভিবাসনের সর্বশেষ পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক এবং দক্ষ পেশার জন্য উপসাগরীয় এবং ইউরোপীয় দেশগুলির পাশাপাশি কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন অন্তর্ভুক্ত।
ভারতীয়রা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে এবং তাদের মূল্যবোধ ও বিশ্বাসকে সমুন্নত রেখে সফলভাবে এই দেশগুলিতে বসতি স্থাপন করেছে। ভারতীয় প্রবাসীরা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে অনেকেই তাদের গৃহীত দেশগুলিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ভারতীয় প্রবাসীরা শান্তিপূর্ণ সংহতির সাথে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য পরিচিত।
'জাতি গঠনে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান' নামের বইয়ের প্রস্তাবের জন্য প্রস্তাবিত সাব-থিম
থিম 2: ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা
গণিত, দর্শন, শিল্প, সংস্কৃতি, স্থাপত্য, জ্যোতির্বিদ্যা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতবর্ষে বিশাল জ্ঞানের এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার রয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে সঞ্চিত এই অসীম জ্ঞান অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কঠোর বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। এটি মৌখিক, পাঠ্য এবং শৈল্পিক ঐতিহ্যের আকারে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়েছে।
ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা (আইকেএস) ভারতের সমস্ত দিককে অন্তর্ভুক্ত করে -জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং জীবন দর্শন।এটি আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশ্বের প্রতি ভারতের অসাধারণ অবদান কী তা বুঝতে সাহায্য করে। শূন্যের আবিষ্কার, দশমিকের ব্যবহার, দস্তা গলানোর মতো অন্যান্য বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মত বিষয়গুলো উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করে। একইভাবে, প্লাস্টিক সার্জারি এবং আয়ুর্বেদ, যোগব্যায়াম, বেদ ও উপনিষদে অন্তর্ভুক্ত দর্শনের মতো বিষয়গুলো চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভারতের সেই সময়ে্র উদ্ভাবনী শক্তি ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে।
ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা আমাদের সমসাময়িক সময়ে ঐতিহাসিক জ্ঞানের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে এবং দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নের জন্য নতুন জ্ঞান সংশ্লেষণের মাধ্যমে যে নতুন সুযোগগুলো আনতে পারে তা শনাক্ত করতে সহায়তা করে। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং প্রচারের জন্য আইকেএস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আদিবাসী জ্ঞানের গভীরতা উপলব্ধি করার জন্য একটি ভিত্তি প্রদান করে।
ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থা থিমের উপর বইয়ের প্রস্তাবের জন্য প্রস্তাবিত সাব-থিম
থিম 3: আধুনিক ভারতের নির্মাতা (1950-2025)
1947 সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার সাথে দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমস্যা, বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যা এবং খাদ্য ঘাটতি সহ নানান উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ এসেছিল। জাতি নির্মাতারা ভারতকে একটি স্বনির্ভর এবং প্রগতিশীল গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করার কঠিন কাজের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাজনৈতিক নেতারা একটি প্রগতিশীল সংবিধান এবং দূরদর্শী নীতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন, সামাজিক সমতা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রের দূরদর্শী ব্যক্তিরা জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শিক্ষার পথিকৃৎরা আইআইটি এবং আইআইএম-এর মতো প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ অনুসন্ধান, পারমাণবিক শক্তি এবং টেলিযোগাযোগে ভারতের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছেন। অর্থনৈতিক সংস্কারকরা শিল্পায়ন, কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং অবকাঠামো বৃদ্ধি করেছেন, যার উদাহরণ হিসেবে বড় বড় বাঁধ এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করেছে। শিল্প ও সংস্কৃতিতে, স্রষ্টারা ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেছেন এবং বিশ্বব্যাপী এটাকে উন্নত করে তুলেছে এবং সমাজ সংস্কারকরা প্রান্তিকদের জন্য সমতা এবং ক্ষমতায়নের পক্ষে লড়াই করেছেন।
সমসাময়িক ভারতে, দ্রুত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে দেশ-নির্মাতাদের উত্তরাধিকার বিকশিত হচ্ছে। ডিজিটাল উদ্ভাবন, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিশ্ব-নেতৃত্বদায়ক রাষ্ট্র হিসেবে, ভারত বিশ্ব মঞ্চে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অর্থনৈতিক উদারীকরণ এবং উদ্যোক্তারা একটি সমৃদ্ধ স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে ইন্ধন জুগিয়েছে, অন্যদিকে অবকাঠামো সম্প্রসারণ নগর ও গ্রামী ভূমিরূপের কার্যকরী রূপান্তর করেছে। একই সাথে, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, লিঙ্গ সমতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রচেষ্টা জাতির অগ্রগতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে। আধুনিকতার সাথে ঐতিহ্যের ভারসাম্য বজায় রেখে, ভারত একটি প্রাণবন্ত, গণতান্ত্রিক এবং দূরদর্শী সমাজ হিসাবে তার ভবিষ্যত গঠন করে চলেছে।
সম্মিলিতভাবে, আধুনিক ভারতের এই নির্মাতারা একটি গতিশীল এবং স্থিতিস্থাপক জাতি গঠন করছে, যা বিশ্ব মঞ্চে উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আধুনিক ভারতের নির্মাতা (1950-2025) শীর্ষক বইয়ের প্রস্তাবের জন্য প্রস্তাবিত সাব-থিম
প্রতিটি থিমের জন্য উল্লিখিত সাব-থিমগুলো কেবল নির্দেশক প্রকৃতির হবে এবং এই স্কিম ডকুমেন্টে প্রদত্ত ফ্রেমওয়ার্ক মেনে প্রতিযোগীদের তাদের বিষয়গুলো প্রণয়নের স্বাধীনতা রয়েছে।
তরুণ লেখকদের পরামর্শদানের এই প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর গ্লোবাল সিটিজেনের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা দেশে পঠন, লেখা এবং বই সংস্কৃতির প্রচার এবং ভারত ও ভারতীয় লেখাকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার জন্য 30 বছর বয়স পর্যন্ত তরুণ এবং উদীয়মান লেখকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চালু করা প্রয়োজন।
প্রতিযোগীদের 10,000 শব্দের মধ্যে একটি বই জমা দিতে বলা হবে।অতএব, নিম্নলিখিত অনুযায়ী বিভাজন হবে :
1 |
সারসংক্ষেপ |
2000-3000 শব্দে |
2 |
অধ্যায় পরিকল্পনা |
হ্যাঁ |
3 |
দুই-তিনটি নমুনা অধ্যায় |
7000-8000 শব্দে |
4 |
গ্রন্থপঞ্জি ও রেফারেন্স |
হ্যাঁ |
ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, ভারত (বিপি বিভাগের অধীনে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার)ইমপ্লিমেন্টিং এজেন্সি নির্দিষ্ট পরামর্শদানের পর্যায়ের অধীনে প্রকল্পটির পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
এই প্রকল্পটি ভারতীয় ভাষা এবং ইংরেজিতে লেখকদের একটি দল তৈরি করবে যারা নিজেদের প্রকাশ করতে এবং যেকোনো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতকে তুলে ধরতে প্রস্তুত, পাশাপাশি এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে সহায়তা করবে।
এটি অন্যান্য চাকরির বিকল্পের সাথে সাথে পঠন এবং লেখার দক্ষতাকে একটি পছন্দের পেশা হিসেবে নিশ্চিত করবে, যার ফলে ভারতের তরুণরা তাদের শিক্ষাজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পঠন এবং জ্ঞানকে গ্রহণ করবে, এছাড়াও, সাম্প্রতিক মহামারীর প্রভাব এবং তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাবের কারণে এটি তরুণদের মনে ইতিবাচক মানসিক আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বই প্রকাশক হওয়ায়, এই প্রকল্পটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পাঠকদের জন্য নতুন প্রজন্মের লেখকদের লেখার সুযোগ করে দিয়ে ভারতীয় প্রকাশনা শিল্পকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
এই কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর গ্লোবাল সিটিজেনের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এর মাধ্যমে এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত প্রচার করা যায়। এবং ভারতকে বিশ্বগুরু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
প্রশ্ন-1: পিএম-যুব 3.0-এর থিম কী?
উত্তর: এই প্রকল্পের তিনটি ভিন্ন বিষয় হল:
আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আপনি ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন।
প্রশ্ন-2: প্রতিযোগিতার সময়কাল কী?
উত্তর: প্রতিযোগিতাটি 11 মার্চ 10 এপ্রিল, 2025 পর্যন্ত চলবে।
প্রশ্ন-3: কতদিন পর্যন্ত লেখা গ্রহণ করা হবে?উত্তর : জমাগুলি 10 এপ্রিল 2025 পর্যন্ত 10th April 2025-এর রাত 11:59টা গ্রহণ করা হবে।.
প্রশ্ন-4: নির্ধারিত কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এন্ট্রি গ্রহণ করা হবে: হার্ড কপি বা সফট কপি গ্রহণের তারিখ?
উত্তর: টাইপ করা ফরম্যাটে প্রাপ্ত সফট কপিগুলোই সময়সীমার মধ্যে গ্রহণ করা হবে।
প্রশ্ন-5: আমি কি যে-কোনও ভারতীয় ভাষায় লিখতে পারি?
উত্তর: হ্যাঁ, আপনি ইংরেজিতে বা ভারতের সংবিধানের অষ্টম তফসিলে তালিকাভুক্ত নিম্নলিখিত যে কোনও ভাষায় লিখতে পারেন:
(1) অসমীয়া, (2) বাংলা, (3) বোড়ো (4) ডোগরি (5) গুজরাটি, (6) হিন্দি, (7) কন্নড়, (8) কাশ্মীরি, (9) কোঙ্কানি, (10) মালয়ালম, (11) মণিপুরী, (12) মারাঠি, (13) মৈথিলী (14) নেপালি, (15) ওড়িয়া, (16) পাঞ্জাবি, (17) সংস্কৃত, (18) সিন্ধি, (19) সাঁওতালি (20) তামিল, (21) তেলেগু, এবং (22) উর্দু
প্রশ্ন-6: সর্বোচ্চ 30 বছর বয়স কীভাবে নির্ধারণ করা হবে?
উত্তর: আপনাকে ঠিক 30 বছর বা তার কম বয়সী হতে হবে উক্ত তারিখ পর্যন্ত 11 মার্চ 2025 তারিখে চালু হচ্ছে।.
প্রশ্ন-7: বিদেশি নাগরিকরা কি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন?
উত্তর: শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকরা, যাদের মধ্যে ভারতীয় পাসপোর্টধারী PIO বা NRI ভারতীয়রাও অন্তর্ভুক্ত, তারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
প্রশ্ন-8: আমি একজন PIO/NRI ভারতীয় পাসপোর্টধারী, আমাকে কি তার প্রামাণ্য নথিপত্র সংযুক্ত করতে হবে?
উত্তর: হ্যাঁ, অনুগ্রহ করে আপনার এন্ট্রির সাথে আপনার পাসপোর্ট/PIO কার্ডের একটি অনুলিপি সংযুক্ত করবেন।
প্রশ্ন-9: আমাকে এন্ট্রি কোথায় পাঠাতে হবে?
উত্তর: শুধুমাত্র মাইগভ-এর মাধ্যমে এন্ট্রি পাঠানো যাবে।
প্রশ্ন-10: আমি কি একাধিক এন্ট্রি জমা দিতে পারি?
উত্তর: একজন প্রতিযোগী কেবলমাত্র একটি এন্ট্রিই জমা দিতে পারবেন।
প্রশ্ন-11: এন্ট্রির কাঠামো কীরকম হওয়া উচিত?
উত্তর: এটিতে একটি অধ্যায় পরিকল্পনা, সারসংক্ষেপ এবং দুই-তিনটি নমুনা অধ্যায় থাকতে হবে, যার মধ্যে নিম্নলিখিত ফরম্যাট অনুসারে সর্বাধিক 10,000 শব্দে লিখতে হবে:
1 |
সারসংক্ষেপ |
2000-3000 শব্দে |
2 |
অধ্যায় পরিকল্পনা |
|
3 |
দুই-তিনটি নমুনা অধ্যায় |
7000-8000 শব্দে |
4 |
গ্রন্থপঞ্জি ও রেফারেন্স |
|
প্রশ্ন-12: আমি কি 10,000 শব্দের বেশি শব্দে লিখতে পারি?
উত্তর: সর্বোচ্চ 10,000 শব্দের মধ্যে লিখিত লেখা গ্রহণযোগ্য হবে।
প্রশ্ন-13: আমি কীভাবে জানব যে আমার এন্ট্রি নিবন্ধিত হয়েছে?
উত্তর: আপনি একটি স্বয়ংক্রিয় স্বীকৃতি ইমেল পাবেন।
প্রশ্ন-14: আমি একটি ভারতীয় ভাষায় আমার লেখা জমা দেব, আমাকে কি লেখাটির ইংরেজি অনুবাদও সংযুক্ত করে দেওয়া উচিত?
উত্তর: না। অনুগ্রহ করে ইংরেজি বা হিন্দিতে আপনার এন্ট্রির সারসংক্ষেপ 200 শব্দের মধ্যে লিখে দেবেন।
প্রশ্ন-15: প্রবেশের জন্য কোনও ন্যূনতম বয়সসীমা আছে কি?
উত্তর: ন্যূনতম বয়স নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রশ্ন-16: আমি কি হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি পাঠাতে পারি?
উত্তর: না। এটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট অনুযায়ী সুন্দরভাবে টাইপ করে পাঠাতে হবে।
প্রশ্ন-17: এন্ট্রির ধরন কী?
উত্তর: শুধুমাত্র নন-ফিকশন।
প্রশ্ন-18: কবিতা ও ফিকশন কি গ্রহণ করা হবে?
উত্তর: না, কবিতা ও ফিকশন গ্রহণ করা হবে না।
প্রশ্ন-19: যদি পাণ্ডুলিপিতে কোনও বাহ্যিক উৎস থেকে উদ্ধৃতি নেওয়া হয়ে থাকে, তবে কীভাবে এবং কোথায় সেটির উল্লেখ করা প্রয়োজন/আমি কীভাবে রেফারেন্সের উৎস উদ্ধৃত করব?
উত্তর: যদি কোনও নন-ফিকশন পাণ্ডুলিপিতে কোনও বাহ্যিক উৎস থেকে তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে প্রয়োজন হলে উৎসটিকে পাদটীকা/এন্ডনোট হিসাবে বা সুসংহত ওয়ার্কস সাইটেড বিভাগে উল্লেখ করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন-20: আমি কি ইউনিকোডে আমার ভারতীয় ভাষায় লেখা- এন্ট্রি জমা দিতে পারি?
উত্তর: হ্যাঁ, এটি ইউনিকোডে পাঠানো যেতে পারে।
প্রশ্নো-21: জমা দেওয়ার ফর্ম্যাটটি কীরকম হতে হবে?
উত্তর:
ক্রমিক সংখ্যা | ভাষা | ফন্ট স্টাইল | ফন্টের সাইজ |
1 |
ইংরেজি |
ফন্টের ধরন হবে টাইমস নিউ রোমান |
14 |
2 |
হিন্দি |
ইউনিকোড/কৃতি দেব |
14 |
3 |
অন্যান্য ভাষা |
সমতুল্য ফন্ট |
সমতুল্য সাইজ |
প্রশ্ন-22: একযোগে জমা দেওয়ার অনুমতি কি আছে/আমি কি অন্য প্রতিযোগিতা/জার্নাল/ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে জমা দেওয়া একটি প্রস্তাব পাঠাতে পারি?
উত্তর: না, একযোগে জমা দেওয়ার অনুমতি নেই।
প্রশ্ন-23: ইতিমধ্যে জমা দেওয়া একটি এন্ট্রি/পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা/বদল করার পদ্ধতি কী?
উত্তর: একবার এন্ট্রি জমা দেওয়ার পরে, এটি সম্পাদনা বা প্রত্যাহার করা যাবে না।
প্রশ্ন-24: সাবমিশনগুলিতে কি টেক্সটকে সমর্থন করার জন্য ছবি/চিত্র থাকতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, যদি আপনার কাছে কপিরাইট থাকে তবে পাঠ্যটি ছবি বা চিত্রের সাথে সমর্থিত হতে পারে।
প্রশ্ন-25: যদি আমি যুব 1.0 এবং যুব 2.0-এর অংশ হয়ে থাকি, তবে আমি কি অংশগ্রহণ করতে পারি ?
উত্তর: হ্যাঁ, তবে শুধুমাত্র যদি আপনি পিএম-যুব 1.0 এবং পিএম-যুব 2.0-এর নির্বাচিত লেখকদের চূড়ান্ত তালিকায় না থেকে থাকেন।
প্রশ্ন-26: চূড়ান্ত 50 জনের তালিকায় কি মেধার কোনও ক্রম থাকবে?
উত্তর: না, 50 জন বিজয়ী যোগ্যতার কোনও ক্রম ছাড়াই সমানভাবে বিবেচিত হবেন।